আফ্রিকা মহাদেশ চলছে ফুটবলের মহাযজ্ঞ৷ পুরো আফ্রিকা পুড়ছে ফুটবল জ্বরে৷ পশ্চিম আফ্রিকার দেশ আইভরি কোষ্টে বসেছে ‘আফ্রিকার বিশ্বকাপ’ খ্যাত আফ্রিকান কাপ অব নেশন্সের ৩৪তম আসর৷ দেশটির ৫টি শহরে ২৪ দলের অংশগ্রহণ শুরু হয়েছে এবারের আসর৷ ১৯৫৭ সালে শুরু হওয়া এ টুর্নামেন্টে একচেটিয়া সাফল্য রয়েছে মিশরের৷ নেশন্স কাপে প্রথম দুই আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয় মিশর। এখন পর্যন্ত আফ্রিকার সবচেয়ে সফল দল হিসেবে এ টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৭ বার শিরোপা ঘরে তোলে তারা৷ এর মধ্যে ২০০৬, ২০০৮ ও ২০১০ সালে টানা তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয় মিশর৷
যখন শুরু হয় আফ্রিকার বিশ্বকাপ—কাপ অব নেশন্স
১৯৫৭ সালে সুদানে প্রথম শুরু হয় আফ্রিকান ফুটবল বসন্ত৷ রাজধানী খার্তুমে ৪ দলের অংশগ্রহণে শুরু হয় এ টুর্নামেন্ট। ফাইনালে ইথিওপিয়াকে ৪-০ গোলে হারিয়ে অভিষেক টুর্নামেন্টটির চ্যাম্পিয়ন হয় মিসর৷ অবশ্য শুরুতে কাপ অব নেশন্স নামে কিছুই ছিল না। আফ্রিকার ফুটবল ফেডারেশনের প্রথম প্রেসিডেন্ট আব্দেল আজিজ আব্দুল্লাহ সালেমের সম্মানার্থে তখন ট্রফির নাম ছিল আব্দেল আজিজ আবদুল্লাহ সালেম ট্রফি।
এরপর ১৯৬৩, ১৯৬৫ ও ১৯৭৮ সালে ঘানা তিনবার চ্যাম্পিয়ন হলে চিরদিনের জন্য ‘আব্দেল আজিজ আবদুল্লাহ সালেম ট্রফি’ নিজেদের করে নেয় ঘানা৷ এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে ৪বার চ্যাম্পিয়ন হয় তারা৷
১৯৭৮ থেকে নতুম নাম আফ্রিকান ইউনিটি কাপ নামে টুর্নামেন্টটি চলতে থাকে আরো ২২ বছর৷ ২০০০ সালে ঘানা ও নাইজেরিয়াতে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের ফাইনালে নাইজেরিয়াকে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে তৃতীয় বারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে ক্যামেরুন৷ ফলে আফ্রিকান ইউনিটি কাপ নিজেদের করে নেয় ক্যামেরুন৷ মিসরের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ট্রফি সাজিয়েছে ক্যামেরুন৷ তারা ৫বার শিরোপা ঘরে তোলে৷
২০০২ সালে মালিতে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের নাম হয় আফ্রিকা কাপ অব নেশন্স। সেই থেকে প্রতি ২ বছর পরপর আজও টুর্নামেন্টটি এ নামে পরিচিত৷ এখন পর্যন্ত এ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ১৪টি ভিন্ন ভিন্ন দল।
আফ্রিকার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন যারা
সাল | চ্যাম্পিয়ন | রানার্সআপ |
১৯৫৭ | মিশর | ইথিওপিয় |
১৯৫৯ | মিশর | সুদান |
১৯৬২ | ইথিওপিয়া | মিশর |
১৯৬৩ | ঘানা | সুদান |
১৯৬৫ | ঘানা | তিউনিশয়া |
১৯৬৮ | কঙ্গো | ঘানা |
১৯৭০ | সুদান | ঘানা |
১৯৭২ | কঙ্গো | মালি |
১৯৭৪ | জায়ার | জাম্বিয়া |
১৯৭৬ | মরক্কো | ঘিনি |
১৯৭৮ | ঘানা | উগান্ডা |
১৯৮০ | নাইজেরিয়া | আলজেরিয়া |
১৯৮২ | ঘানা | লিবিয়া |
১৯৮৪ | ক্যামেরুন | নাইজেরিয়া |
১৯৮৬ | মিশর | ক্যামেরুন |
১৯৮৮ | ক্যামেরুন | নাইজেরিয়া |
১৯৯০ | আলজেরিয়া | নাইজেরিয়া |
১৯৯২ | আইভরিকোস্ট, | ঘানা |
১৯৯৪ | ইজেরিয়া | জাম্বিয়া |
১৯৯৬ | দক্ষিণ আফ্রিকা | তিউনিসিয়া |
১৯৯৮ | মিশর | দক্ষিণ আফ্রিকা |
২০০০ | ক্যামেরুন | নাইজেরিয়া |
২০০২ | ক্যামেরুন | সেনেগাল |
২০০৪ | তিউনিসিয়া | মরক্কো |
২০০৬ | মিশর | আইভরিকোষ্ট |
২০০৮ | মিশর | ক্যামেরুন |
২০১০ | মিশর | ঘানা |
২০১২ | জাম্বিয়া | আইভরি কোস্ট |
২০১৩ | নাইজেরিয়া | বুরকিনা ফাসো |
২০১৫ | আইভরিকোস্ট | ঘানা |
২০১৭ | ক্যামেরুন | মিশর |
২০১৯ | আলজেরিয়া | সেনেগাল |
২০২১ | সেনেগাল | মিশর |
আরও পড়ুন: আফ্রিকায় বইছে ফুটবলের বসন্ত বাতাস
ক্রিফোস্পোর্টস/১৫ জানুয়ারি২৪/টিএইচ/এসএ