
জাভেদ ওমর, তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, জুনায়েদ সিদ্দিক, শাহরিয়ার নাফিস কিংবা লিটন দাস। যারা একের পর এক সময়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে ওপেনিং ব্যাটিংয়ে হাল ধরেছিলেন। এবার নতুন আশার আলো দেখাচ্ছেন জাওয়াদ আবরার।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল রয়েছে শ্রীলঙ্কা সফরে। সেখানে প্রথম ওয়ানডেতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল জুনিয়র টাইগারদের ব্যাটিং লাইন আপ। কিন্তু পরের ম্যাচেই পালটে গেছে চিত্র। ডানহাতি ওপেনার জাওয়াদ আবরারের চমক দেখানো সেঞ্চুরিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে জুনিয়র টাইগাররা।
সোমবার কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব মাঠে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে ছয় ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা আনল আজিজুল হাকিমের নেতৃত্বাধীন দল। ওই ম্যাচে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন আবরার।
আরও পড়ুন
» ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ : আবাহনী-মোহামেডানের শিরোপার লড়াই আজ
» আইপিএলে ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশীর বিশ্বরেকর্ড
জাওয়াদ-আজিজুলদের এই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের টানা দুইবারের চ্যাম্পিয়ন। লঙ্কার বিরুদ্ধ সেঞ্চুরি হাঁকানো ম্যাচে রেকর্ডও গড়েছেন আবরার।
আল ফাহাদের ৬ উইকেটে ৪৮.৫ ওভারে ২১১ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে জাওয়াদ আবরারের সেঞ্চুরি ও আজিজুল হাকিমের ফিফটিতে ৯ উইকেট ও ৯৩ বল বাকি থাকতে জয়োল্লাসে মেতে ওঠে সাকিব-তামিমিদের উত্তরসূরীরা।
এদিন ১৪ চার ও ৬ ছক্কায় ১০৬ বলে ১৩০ রানে অপরাজিত থাকেন আবরার। তার সঙ্গে আজিজুল ৮৯ বলে ৬৯ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। দুজন ১৮০ রানের অনবদ্য জুটিও গড়েন। যা যুব ওয়ানডেতে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১২ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে ১৭৯ রানের জুটি গড়েছিলেন লিটন ও বিজয়।
আবরারের ৩০ রানের মধ্যে ৯২-ই এসেছে বাউন্ডারি থেকে, যা যুব ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্য সর্বোচ্চ। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১৫০ রানের ইনিংসে বাউন্ডারি থেকে ৯০ রান তুলেছিলেন পিনাক ঘোষ।
সম্ভাবনাময় এই তরুণ ওপেনার জাওয়াদ আবরারের জন্ম ২০০৭ সালে। শুধু অনূর্ধ্ব ১৯ দল নয়, তিনি বিপিএলে খেলেছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়েও। এই সফরে যাওয়ার আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ভালোই খেলছিলেন। মাঝে মাঝে ডানহাতি অফব্রেক করে পার্টটাইম বোলিংও সামলান।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের তৃতীয় ওয়ানডে আগামী বৃহস্পতিবার কলম্বোর কোল্টস ক্রিকেট ক্লাব মাঠে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৯এপ্রিল২৫/এজে/এনজি
