বর্তমান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন মন্ত্রীসভার সদস্য হওয়ার পর থেকেই একটা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে, মন্ত্রীত্ব পাওয়ার পর হয়তো বিসিবি প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি। প্রশ্ন উঠছিল যদি আসলেই পাপন নিজের পুরনো দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন, তবে পরবর্তীতে সে স্থানে কাকে দেখা যেতে পারে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্তসমর্থকরা নিজেদের মতামত জানাতে শুরু করেছেন। বিসিবির নতুন সভাপতির প্রশ্নে জোরে সোরেই আসছে টাইগারদের সাবেক কাপ্তান মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার কথা। পাশাপাশি নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের নামও ভেসে বেড়াচ্ছে গুঞ্জনে।
তবে গুঞ্জন ছাপিয়ে নিজেই এর উত্তর দিলেন স্বয়ং নাজমুল হাসান পাপন। মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরদিন আজ শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ও বিসিবি সভাপতির পদে একই সঙ্গে থাকবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেন, ‘আইনে কোনো সমস্যা নেই, এটাই হচ্ছে বড় কথা।’
বিসিবির নতুন বোর্ড সভাপতি নিয়োগ নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চান না পাপন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে ইচ্ছা করলেই ছেড়ে দেওয়া যায় না। সেটা আমরা জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রেও দেখেছি, তারা দুই বছর নিষিদ্ধ হয়েছিল, শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও এবার দেখেছি। আমি মনে করি এমন কিছু তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না, যেটা দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি করতে পারে।’
কবে নাগাদ নতুন সভাপতি নিয়োগ দেওয়া হতে পারে সে প্রশ্নে পাপন বলেন, ‘তবে অপশন কি কি আছে, একটা অপশন ওদের সাথে আমার কথাটা বলতে হবে। এখানে দুটো জিনিস আছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা হচ্ছে আমাদের মেয়াদ, যেটা আইসিসি সবসময় চায় তাদের ইলেকটেড বডির ফুল মেয়াদটা। আর একটা হচ্ছে আইসিসির মেয়াদ।’
তবে বাইরের কেউ বিসিবি সভাপতি হবেন না এমনটাই জানালেন পাপন, ‘আমার মনে হয় একটা হতে পারে আইসিসির মেয়াদটা শেষ হয়ে গেলে তখন একটা চিন্তা করে ওদের সাথে কথা বলে বের হয়ে আসার সুযোগ আছে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই এখন যারা বোর্ডের ডাইরেক্টর আছে তাদের মধ্যে থেকে একজন হবে। মানে বাইরে থেকে কারও আসার কোনো সুযোগ নেই।’
পাপন বলেন ক্রিকেট সর্বদাই তার মনে থাকবে, ‘আমি যদি এই ক্রিকেট বোর্ড বা মন্ত্রণালয়ে নাও থাকি, তাও ক্রিকেট সবসময় আমার সাথে থাকবে। এটা মন থেকে তো আর সরানো যাবে না। তবে দুটো আলাদা হয়ে গেলে ভালো হবে। কারণ তাহলে আর মানুষের মধ্যে এমন সন্দেহ হবে না যে আমি ক্রিকেটকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। ‘
এর আগে ২০১২ সালের ১৭ অক্টোবর প্রথমবারের মত দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব নেন পাপন। এরপর টানা তিন মেয়াদে বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেধ তিনি। সর্বশেষ ৬ অক্টোবর ২০২১ সালে তিনি বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব পান।
আরও পড়ুন: স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে রিয়াল-বার্সার এল ক্লাসিকো
ক্রিফোস্পোর্টস/১২জানুয়ারি২৪/এফএএস