এশিয়া কাপের আর মাত্র ১০ দিন বাকি। এরপর শুরু হবে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। দলগুলোর স্কোয়াড ঘোষণা ও প্রায় শেষ।
হাইব্রিড মডেলের এশিয়া কাপ আয়োজিত হবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায়। তবে স্বাগতিক দেশ হিসেবে থাকছে পাকিস্তান। এশিয়া কাপে প্রথমবারের খেলবে হিমালয়ের কন্যা নেপাল।
৩০ আগস্ট নেপাল বনাম পাকিস্তানের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ১৬তম এশিয়া কাপ। ১৭ সেপ্টেম্বর ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামনে এবারের আসরের।
যাদের ঘরে এশিয়া কাপ ট্রফি
১৯৮৪ (ভারত) : সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে আয়োজিত হয় এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এশিয়া কাপ। সেই আসরে শ্রীলঙ্কাক হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। রানার্সআপ হয়ে আসর শেষ করে শ্রীলঙ্কা।
১৯৮৬ (শ্রীলঙ্কা ) : এশিয়া কাপের ২য় আসর আয়োজিত হয় দ্বীপ দেশ শ্রীলঙ্কায়। সেই আসরে পাকিস্তানকে হারিয়ে ১ম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। রানার্সআপ হয়ে আসর শেষ করে পাকিস্তান ।
১৯৮৮ (ভারত): প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের মাটিতে আয়োজিত হয় এশিয়া কাপ। সে আসরে বাংলাদেশ চতুর্থ স্থান অর্জন করে আসর শেষ করে। এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট দ্বিতীয় বারের ভারতের ঘরে যায়। রানার্সআপ হিসেবে আসর শেষ করে শ্রীলঙ্কা।
১৯৯০-৯১ (ভারত) : স্বাগতিক ভারত তৃতীয় বারের এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করে। পরাজিত করে চিরচেনা শ্রীলঙ্কাকে।
১৯৯৫ ( ভারত) : আরব আমিরাতের মাটিতে আয়োজিত হয় এশিয়া কাপের ৫ম আসর। সেখানে আবারও ফাইনালে মুখামুখি হয় শ্রীলঙ্কা বনাম ভারত। চ্যাম্পিয়ন হিসেবে কাপ নিয়ে ঘরে ফিরে ভারত।
১৯৯৭ (শ্রীলঙ্কা ): এশিয়া কাপ মানেই যেন ভারত ও শ্রীলঙ্কার আধিপত্ত । ফাইনালে মুখামুখি হয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা ও ভারত। দ্বীপ রাষ্ট্রটি তখন ট্রফি নিয়েই ঘরে ফিরেছিল।
২০০০ (পাকিস্তান ): দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশের মাটিতে আয়োজিত হয় এশিয়া কাপের ওই আসর। ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ ঘরে উঠে পাকিস্তানের।
২০০৪ (শ্রীলঙ্কা): তৃতীয় বারের মতো এশিয়া কাপ আয়োজনের দায়িত্ব পায় শ্রীলঙ্কা। নিজেদের মাটিতে ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা।
২০০৮ (শ্রীলঙ্কা) এশিয়া কাপের ১০ম আসর আয়োজিত হয় পাকিস্তানে। সেই আসরে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শ্রীলঙ্কা । এটা নিয়ে ভারত – শ্রীলঙ্কা ৭ম বারের মতো ফাইনালে মুখোমুখি হয়। রানার্সআপ হয়ে আসর শেষ করে ভারত।
২০১২ (পাকিস্তান): তৃতীয় বারের মতো এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে অংশগ্রহণ করে। ২ রানের আক্ষেপে এশিয়া কাপ ঘরে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান।
২০১৪ (শ্রীলঙ্কা) : আয়োজক বাংলাদেশ সবগুলো ম্যাচে হেরে শুরুতেই বাদ যায়। ফাইনালে মুখোমুখি হয় পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কা। দ্বীপ দেশ শ্রীলঙ্কা চ্যাম্পিয়ন হয়েই ঘরে ফিরে।
২০১৬ (ভারত) : টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এশিয়া কাপের ঐ আসর হয়েছিল টি২০ ফরম্যাটে। অঘোষিত সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ। এবারও ট্রফি ঘরে তোলা হয়নি বাংলাদেশের। ফাইনালে ভারতের সঙ্গে হেরে যায় টাইগাররা।
২০১৮ (ভারত) : তৃতীয় বারের মতো এশিয়া কাপ আয়োজনের দায়িত্ব পায় সংযুক্ত আরব আমিরাত । পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ৩য় বারের মতো ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় শক্তিশালী ভারতকে। নাটকীয়তায় ভরপুর ম্যাচে শেষ ওভারে হারের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। ফলে ছুয়ে দেখা হলো না অধরা সেই ট্রফি।
২০২২ (শ্রীলঙ্কা) : এশিয়া কাপ মানেই শ্রীলঙ্কার রাজত্ব। সারাবছর খারাপ খেললেও এশিয়া কাপ আসলেই জ্বলে উঠে শ্রীলঙ্কা। টি২০ ফরম্যাটে আয়োজিত আসরে ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ৬ষ্ঠ বারের মতো এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট যায় শ্রীলঙ্কার ঘরে।
আরও পড়ুন: এশিয়ার সেরা মিডল অর্ডার নিয়ে বিশ্বকাপে যাবে টাইগাররা
ক্রিফোস্পোর্টস/২১আগস্ট২৩/এইচআর/এসএ