নিউজিল্যান্ড ম্যাচে পাওয়া চোটের কারণে গতকাল ভারতের বিপক্ষে একাদশে ছিলেন না টাইগার দলপতি সাকিব আল হাসান। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও আগামী ২৪ অক্টোবরের ম্যাচেও সাকিবকে পাওয়া যাবে কি না তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা।
চোটে পড়ার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও সাকিবের চোট কতটা গুরুতর বা তার ফিরতে কতদিন লাগবে তা নিয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি বিসিবি বা টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত ১৩ অক্টোবরের ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময় বাঁ পায়ের ঊরুর মাংসপেশিতে চোট পান সাকিব। পরে মাঠেই ফিজিওর থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ব্যাটিং চালিয়ে যান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। পরে অবশ্য নিজের ১০ ওভার কোটার বল পূর্ণ করেই সোজা হাসপাতালে চলে যান তিনি। সেখানে তার পায়ের স্ক্যান করানো হয়।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে তার পায়ের আবারও স্ক্যান করানো হয়। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে তাকে না খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এমনকি এখন পর্যন্ত দুইবার এমআরআই করার পরও তার রিপোর্ট সম্পর্কে বা চোট সম্পর্কে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
সাকিবের ব্যাপারে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন জানান, আমরা টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে তাকে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে না খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ম্যাচে খেললে সাকিবের চোট আরও বড় হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, সেই ঝুঁকি আমরা নিতে চাইনি। এর থেকে বরং বিশ্বকাপে বাকি পাঁচ ম্যাচে ফিট সাকিবকে পাওয়া গেলে সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে।
এর আগে কিউইদের বিপক্ষে ম্যাচ শেষ করে গত ১৪ অক্টোবর চেন্নাই থেকে পুনেতে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। সেখানে তিন দিন বিশ্রাম দেয়া হয় হাথুরু শিষ্যদের। তিন দিন পর দলের বাকি ক্রিকেটারদের মত সাকিবও অনুশীলনে ফেরেন।
দীর্ঘ সময় ব্যাট চালাতে দেখা যাওয়ায় মনে হচ্ছিল ভারতের বিপক্ষে টাইগার কাপ্তানকে হয়তো পাওয়া যাবে। টিম ডিরেক্টরের কথায়ও সাকিবকে পাওয়ার আশার কথা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু শেষ মেশ মেডিকেল টিমের ছাড়পত্র না মেলায় ভারতের বিপক্ষে একাদশে রাখা হয়নি বাংলাদেশ অধিনায়ককে। এদিন তার জায়গায় ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
আরও পড়ুন : পাক বোলারদের নিয়ে চিন্তিত নন! কী বললেন অজি অধিনায়ক?
ক্রিফোস্পোর্টস/২০অক্টোবর২৩/এমএস/এসএ