বাংলাদেশের উঠতি তারকা পেসার তানজিম হাসান সাকিব। বল হাতে তিনি যতটা আক্রমণাত্মক, ঠিক ততটাই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিমা তার শরীরী ভাষায়ও ফুটে উঠে৷ যা দেখা গেছে চলতি বিশ্বকাপেও।
সোমবার (১৭ জুন) নেপালের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। এই ম্যাচে ১০৬ রানের স্বল্প পুঁজি নিয়েও জয় তুলে নিতে সক্ষম হয় টাইগাররা। আর এই জয়ের অন্যতম কারিগর তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। ইনিংসের শুরু থেকে টানা ৪ ওভারের স্পেলে নেপালের টপ অর্ডার উড়িয়ে দেন সাকিব। ৪ ওভারে ২ মেডেনসহ ৭ রান দিয়ে উইকেট শিকার করেন ৪টি।
এরই মাঝে নেপালের অধিনায়ক রোহিত পৌডেলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান সাকিব। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তার জোড়া উইকেট শিকারের পর নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে আসেন রোহিত। এরপর তার সঙ্গে কথার লড়াই শুরু হয় সাকিবের। এরপর আম্পায়ার এসে পরিস্থিতি ঠিক করেন।
আরও পড়ুন:
» নেপালকে হারিয়ে ভক্তদের ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন মুস্তাফিজ
» নেপালের বিপক্ষে ম্যাচসেরা বোলিংয়ে যত রেকর্ড সাকিবের
তবে কেন বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন দুজন, কী নিয়ে তাদের কথার লড়াই হলো? ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রোহিত বলেন, ‘আসলে আমাদের মধ্যে কিছুই হয়নি। সে বলছিল, পারলে মারো। আমি বলছিলাম, বল করো যাও।’
তবে তানজিমের বোলিংয়ের প্রশংসাও করেছেন নেপালি কাপ্তান। তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে তানজিম নতুন বলে দারুণ বোলিং করেছেন। উইকেটও অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল।’
এ প্রসঙ্গে ম্যাচ শেষে তানজিম বলেন, ‘আমি ওকে বলছিলাম, ইটস নট ইজি ব্রাদার। ইটস নট ইজি।’
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে বোলিংয়ের পাশাপাশি শরীরী ভাষায়ও আক্রমণাত্মক তানজিমকে দেখা গিয়েছিল। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই এমন আত্মবিশ্বাসী ও আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়েই খেলেন তিনি। তার বিশ্বাস আক্রমণাত্মক হওয়াটাই বোলারদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার, ‘আপনাকে সব সময়ই আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে হবে। অ্যাটাকিং ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স। কখনোই রক্ষণাত্মক মনোভাব নিয়ে এগোতে পারবেন না। আমরা এটাই বিশ্বাস করি।’
ক্রিফোস্পোর্টস/১৭জুন২৪/বিটি