পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলে। মৃত্যুর আগে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। ক্রীড়াবিষয়ক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম গোল ডটকমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
জাতীয় দলের হয়ে তিনবার বিশ্বকাপ জিতেছেন পেলে। বর্ণিল ক্যারিয়ারে ১ হাজার ৩৬৩ ম্যাচে ১ হাজার ২৮১টি গোল করেন তিনি। তবে দীর্ঘ ২২ বছরের খেলোয়াড় জীবনে মাত্র দুটি ক্লাবের হয়ে খেলেছেন ফুটবলের এই রাজা। একটি স্বদেশী সান্তোস, আরেকটি ভিনদেশি নিউইয়র্ক কসমস ক্লাব।
তবে ইউরোপের কোনো ক্লাবের হয়ে কখনও মাঠে নামা হয়নি পেলের। যদিও ইউরোপিয়ান একাধিক শীর্ষ ক্লাব থেকে অনেকবার ডাক পান তিনি। তাকে দলে ভেড়াতে মরিয়া ছিল ইতালি ও স্পেনের ক্লাবগুলো। তার সঙ্গে চুক্তির প্রায় কাছাকাছিও পৌঁছে গিয়েছিল ইন্টার মিলান।
২০০২ বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিল দলের তারকা রোনাল্ডো নাজারিও এ তথ্য জানিয়েছেন। এক সময় ক্লাবটির হয়ে খেলেছেন তিনিও। ক্রীড়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গেজেটা ডেলো স্পোর্টে একটি চিঠি লিখেন রোনাল্ডো।
সেখানে তিনি স্মৃতিচারণ করেন, পেলে যখন সান্তোসের হয়ে খেলতেন, তখন তাকে ডেরায় ভেড়ানোর জোর প্রচেষ্টা চালায় ইন্টার। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি ব্রাজিল ছাড়ার ইচ্ছা করেন নি। উনি নিজেই এ কথা আমাকে জানিয়েছেন।
২০১৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে পাড়ি জমান ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এরপর সামজিক মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে পেলে বলেন, তুরিনের বুড়িদের হয়ে নাকি খেলতে পারতেন তিনিও।
পেলে লিখেন, জুভদের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে যাচ্ছো তুমি। তোমার জন্য অনেক শুভকামনা। এতে ভিন্ন কিছু স্বাদ পাবে। আমিও তাদের হয়ে লড়াইয়ে অংশ নিতে পারতাম।
তিনি লেখেন, ১৯৬১ সালে এক সন্ধ্যায় রাতের খাবারের সময় ফিয়াটের মালিক আমাকে স্বাক্ষর করার জন্য সান্তোস এফসির প্রেসিডেন্টকে এক মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি এক ঘরানার ফুটবল খেলি।
২০১৬ সালে পেলে জানান- নাপোলি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রিয়াল মাদ্রিদের প্রস্তাব ফেরত দিয়েছিলেন তিনি।
ইউএসএ টুডেকে সর্বকালের সেরা এই ফুটবলার বলেন, অসংখ্যবার এসব ক্লাবের সঙ্গে চুক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। তারা আমাকে ব্রাজিল থেকে বের করে নিতে চেয়েছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত তারা ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন : প্লেয়ার্স বায়োগ্রাফি: সাকিব আল হাসান
ক্রিফোস্পোর্টস/৩০ডিসেম্বর২২/এসএ