বর্তমানে ভারতের গোয়ালিয়রে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেখানে আজ সন্ধ্যায় ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তার আগে গত শুক্রবার গোলিয়রের মোতি মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করার কথা ছিল টাইগার ক্রিকেটারদের। তবে শেষ পর্যন্ত টিম হোটেলেই নামাজ পড়েছেন শান্ত-মুশফিকরা।
ম্যাচের আগে গতকাল এই তথ্য জানিয়েছেন গোয়ালিয়র পুলিশের এক কর্মকর্তা। যদিও পুলিশের তরফ থেকে নিরাপত্তার সবরকম বন্দোবস্ত করা হয়েছিল বলেই জানা গেছে। পূর্বসূচি অনুযায়ী মোতি মসজিদে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অপেক্ষায় ছিলেন সকলেই। তবে হঠাৎ না আসার এমন সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন সবাই।
গোয়ালিয়রে বাংলাদেশ দল যে টিম হোটেলে অবস্থান করছে সেখান থেকে ফুলবাগের মোতি মসজিদ খুব বেশি দূরে নয়। তবে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই মসজিদে নামাজ পড়ার কথা থাকলেও কেন গেল না টাইগাররা সেই বিষয়ে কিছু জানায়নি দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। যদিও ধারণা করা হয় নিরাপত্তা জনিত কারণেই শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয় মসজিদে যাওয়ার বিষয়টি।
তবে গোয়ালিয়র জোনের ইন্সপেক্টর জেনারেল অরবিন্দ সাক্সেনা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘মোতি মসজিদে আমরা আগে থেকেই নিরাপত্তার সব ব্যবস্থা করে রেখেছিলাম। তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা এখানে আসেননি। এখানে কোন সংগঠন থেকে ঝামেলার হুমকি ছিল হয়তো টিম ম্যানেজমেন্ট এর পরিকল্পনায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছে।’
এদিকে গোয়ালিয়রের মাটিতে বাংলাদেশের ম্যাচ হতে না দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে হিন্দু মহাসভা। মূলত সম্প্রতি বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর স্থানীয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা ও নিপীড়নের অভিযোগ এনে গোয়ালিয়রে টাইগারদের ম্যাচ আয়োজন নিষিদ্ধ করার দাবি জানায় তারা।
এই ম্যাচ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তায় স্থানীয় প্রশাসন। ম্যাচের দিন ভারতীয় আইনের ধারা সেকশন ১৬৩ জারি করা হয়েছে। ম্যাচের দিন প্রায় আড়াই হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। প্রশাসন বলছে, পাঁচজনের বেশি কোথাও একত্র হওয়া, আতশবাজী বহন করা, ছুরি বা বর্শার মতো ধারালো অস্ত্রপাতি বহন করা যাবে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিরাপত্তা নিয়ে এতো চিন্তা কেন?
ক্রিফোস্পোর্টস/৬অক্টোবর২৪/এফএএস