ম্যাচে তখন মনে হচ্ছিল ধীরে ধীরে ছিটকে যাচ্ছে রংপুর রাইডার্স। ৯ বলে তখনও প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। তার আগের বলেই আউট হয়ে ফিরে গিয়েছেন ইনফর্ম ব্যাটার খুশদিল শাহ। এমন পরিস্থিতিতে এক বিতর্কিত ঘটনার জন্ম হয় মাঠে। ১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে উড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন শেখ মাহিদী। বরিশালের বোলার ছুটে গিয়ে ক্যাচ ধরার চেষ্টা করতে মাঝে এসে যান উইকেটের অপর প্রান্তে থাকা ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান।
ফিল্ডিংয়ে বাধা প্রদানের চেষ্টায় আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। তবে রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক সোহানকে নয়, বরং আউট দেওয়া হয় শেখ মাহেদী হাসানকে।
এদিন সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই থার্ড আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্তে ফিরে যেতে হয় মাহদীকে। এসময় বোলিং করছিলেন বরিশালের পেসার জাহানদাদ খান। তার লাফিয়ে ওঠা বল সজোরে হাকানোর চেষ্টা করেছিলেন এই টাইগার স্পিন অলরাউন্ডার। তবে ঠিকঠাকভাবে ব্যাটে বলে করতে পারেননি তিনি। এতে উইকেটে মাঝে মাঝে অবস্থানে ক্যাচ উঠে।
আরও পড়ুন:
» সুপার কাপে বার্সা-রিয়াল ক্লাসিকো, ফাইনাল কবে কখন?
» বিপিএলের ম্যাচসহ আজকের খেলা (১০ জানুয়ারি ২৫)
জাহানদাদ ছুটে গিয়ে তালবন্দি করার চেষ্টা করেন সেটিকে। তবে একই সময় দূরে রান নেওয়ার চেষ্টায় বলের লাইনে চলে আসেন নুরুল হাসান সোহান। এতে করে ক্যাচ লোভে নিতে ব্যর্থ হন জাহানদাদ। এমন ঘটনা সমাধানের জন্য ফিল্ড আম্পায়ার শরণাপন্ন হন থার্ড আম্পায়ারের। যেখানে আম্পায়ার তানভীর আহমেদ নিশ্চিত করেন যে, নুরুল ফিল্ডিংয়ে বাধা দিয়েছেন।
আর এমন ঘটনায় আউট দেওয়া হয় মাহেদী হাসানকে। তবে একজনের দোষে অন্যজন কেন আউট হলো, এমন প্রশ্ন এসেছে অনেকের মনে। মূলত ক্রিকেটের নিয়মই এমন। মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) আইনের ৩৭.৩ ধারায় বলা আছে, যদি কোনো ব্যাটার ফিল্ডিংয়ে বাধা দেন এবং ডেলিভারিটি নো বল না হয়, তাহলে স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটারকেই আউট ঘোষণা করা হবে।
অবশ্য ম্যাচ শেষে এই ঘটনা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন সোহান। তিনি বলেন, ‘কাউকে বাধা দেওয়া আমার কোন উদ্দেশ্য ছিল না। আমি কেবল সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইকে ফেরার জন্য দৌড়েছিলাম। কিন্তু আম্পায়ার স্ট্রাইকে থাকা ক্রিকেটারকে আউট দেন। বল যদি বাতাসে না থেকে মাটিতে পড়তো, তাহলে ঘটনা অন্যরকম হতে পারতো। আর আমি রানের জন্য সোজা দৌড়েছিলাম; সেখানে আমার পথ পরিবর্তনের সুযোগ ছিল না।
সেই ওভারে আরও একটি উইকেটের প্রথম দেখে রংপুর রাইডার্স। এতে শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। তবে এত কিছুর পরেও হাল ছাড়েনি রংপুর। শেষ ওভারের সেই নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটেই দারুন এক জয় নিশ্চিত করে গতবারের রানার্সআপরা। সোহান খেলেন ৭ বলে ৩২ রানের অপরাজিত এক বিধ্বংসী ইনিংস।
ক্রিফোস্পোর্টস/১০জানুয়ারি২৫/এফএএস