বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ মাঠে গড়াবে আজ। দীর্ঘদিন পর গোয়ালিয়রে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরায় আনন্দিত স্থানীয় ক্রিকেট প্রেমীরা। তবে এই ম্যাচ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তায় স্থানীয় প্রশাসন। মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার পুলিশ।
গোয়ালিয়রের মাটিতে বাংলাদেশের ম্যাচ হতে না দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে ভারতের গান্ধী জয়ন্তীতে দক্ষিণপন্থী দল হিন্দু মহাসভা। মূলত সম্প্রতি বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর স্থানীয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা ও নিপীড়নের অভিযোগ এনে গোয়ালিয়রে টাইগারদের ম্যাচ আয়োজন নিষিদ্ধ করার দাবি জানায় তারা।
ম্যাচের আগে ভেন্যুতে বাংলাদেশ ও ভারতীয় দল অনুশীলনে আসার পথে রাস্তায় ছিল কারফিউ। আর ম্যাচের দিন ভারতীয় আইনের ধারা সেকশন ১৬৩ জারি করা হয়েছে। প্রশাসন বলছে, পাঁচজনের বেশি কোথাও একত্র হওয়া, আতশবাজী বহন করা, ছুরি বা বর্শার মতো ধারালো অস্ত্রপাতি বহন করা যাবে না।
গোয়ালিয়র জোনের ইন্সপেক্টর জেনারেল অরবিন্দ সাক্সেনা সাংবাদিকদের বলেন, ‘ম্যাচের দিন পুলিশ সদস্যরা বেলা ২টা থেকে রাস্তায় অবস্থান করবে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর দর্শকেরা বাড়ি ফিরে যাওয়া পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবে। নিষেধাজ্ঞা জারির পর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চোখ রাখছি।’
জানা যায়, নিরাপত্তা ঘিরে কোনো স্থাপনার ২০০ মিটারের মধ্যে কেরোসিন, পেট্রোল ও অ্যাসিড বহন নিষিদ্ধ। এছাড়া সামাজিক মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে অথবা ধর্মীয় উত্তেজনাকে উসকে দেয়, এমন পোস্ট, কোনো ব্যানার, পোস্টার, কাটআউট, পতাকা এবং উত্তেজক বার্তা বহনকারী কিছু প্রচার করা যাবে না।
এর আগে পুলিশ সুপারের সুপারিশ অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর পর্যন্ত গোয়ালিয়র জেলায় বিক্ষোভ ও উসকানিমূলক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর রুচিকা চৌহান। পাশাপাশি দুই দলের ক্রিকেটারদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া হোটেলের বাইরে যেতে বারণ করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মাঠে গড়াবে প্রথম ম্যাচ।
আরও পড়ুন: সিরিজ শুরুর আগ মুহূর্তে দলে পরিবর্তন আনল ভারত
ক্রিফোস্পোর্টস/৬অক্টোবর২৪/এফএএস