টানা জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকার পর এক হারেই টেবিলের তিন নম্বরে নেমে গেছে চেন্নাই সুপার কিংস। উড়তে থাকা চেন্নাইকে মাটিতে নামানোর কাজটি করেছে দিল্লি ক্যাপিটালস নিজেদের ঘরের মাটিতে। গত পরশু (রবিবার) রাতের ম্যাচে ধোনি-মুস্তাফিজদের চেন্নাইকে ২০ রানে হারিয়েছে দিল্লির ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
পরশুর ম্যাচে আগে ব্যাট করে সিএসকেকে ১৯২ রানের লক্ষ্য দেয় ডেভিড ওয়ার্নারের দিল্লি। জবাবে টপ অর্ডারদের ব্যর্থতায় ১৭১ রান তুলতে সক্ষম হয় চেন্নাই। কিন্তু ম্যাচ হারলেও সবার মন জয় করে নিয়েছেন চেন্নাইয়ের সফলতম অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি।
শেষদিকে তার ১৬ বলে ৩৭ রানের ক্যামিওতে ম্যাচ হারের কোনো লেশমাত্র পড়তে দেখা যায়নি বিশাখাপত্তমে থাকা সিএসকে ও ভারতীয় সমর্থকদের চোখে-মুখে। ঝোড়ো ৩৭ রানের সুবাদে ম্যাচ শেষে ‘ইলেক্ট্রিক স্ট্রাইকার অফ দ্য ম্যাচ’ পুরস্কারও ওঠে ধোনির হাতে।
ম্যাচ শেষে আপামর ক্রিকেট ভক্তদের মত ধোনির স্ত্রীও তার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে কার্পণ্য করেননি। ম্যাচ শেষে নিজের ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে ‘ইলেক্ট্রিক স্ট্রাইকার অফ দ্য ম্যাচ’ পুরস্কার হাতে ধোনির একটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে ধোনির স্ত্রী লেখেন, ‘হাই ধোনি! ম্যাচটা যে হেরে গিয়েছি তা বুঝতে পারিনি।’
অপরদিকে ম্যাচ শেষে চেন্নাইয়ের নতুন অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় হারের দায় কিছুটা ওপেনার রাচিন রবীন্দ্রর কাঁধে দিলই বলে মনে হলো। তিনি বলেন, ‘প্রথম দুই ম্যাচে রাচিন আমাদের ভালো শুরু এনে দিলেও আজ পারেনি। আমার মনে হয়, সে আজ প্রত্যাশামাফিক ব্যাট করতে পারেনি।’ বড় রানের লক্ষ্যে ব্যাট হাতে ১২ বল খেলে মাত্র ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন রাচিন। দলীয় সংগ্রহ তখন ৩ ওভার শেষে মোটে ৭ রান। এজন্যই হয়তো রাচিনকে নিয়ে এমন মন্তব্য করে বসেন চেন্নাই দলপতি।
উল্লেখ্য, ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট হাতে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় দিল্লি। হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান ঋষভ পন্ত (৫১) ও ডেভিড ওয়ার্নার (৫২)। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে চেন্নাই ১৭১ রান তুলতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: আইপিএলে টানা হারের সঙ্গে রোহিতের লজ্জার রেকর্ড
ক্রিফোস্পোর্টস/২এপ্রিল২৪/এমএস/এমটি