দীর্ঘ ১৬ মাসের ইনজুরি কাটিয়ে গত বছরের নভেম্বরে মাঠে ফিরেছেন এবাদত হোসেন। তবে বাইশ গজে ফিরলেও জাতীয় দলের জার্সিতে এখনো সুযোগ হয়নি এই পেসারের। তবে সদ্য সমাপ্ত ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন তিনি। সেখানে বল হাতেও ছিলেন দুর্দান্ত। তবে চলমান বিপিএলে আশানুরূপ পারফরম্যান্স করেই পুনরায় জাতীয় দলে ফেরার পথ সহজ করতে পারবেন এই পেসার।
তবে বিপিএলে এবাদতের খেলা নিয়ে কিছুটা শঙ্কাও রয়েছে। ২০২৩ আসরের মতো এবারও বরিশালের জার্সিতে প্রতিনিধিত্ব করবেন এবাদত। তবে তারকায় ঠাসা বরিশালের মূল একাদশে এবাদতের জায়গা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চিয়তা রয়েছে। বিপিএলের প্রথম দুই ম্যাচে মূল একাদশে জায়গা হয়নি এই পেসারের।
বরিশালের হয়ে হয়ে খেলছেন পাকিস্তানের তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। একই সঙ্গে রয়েছেন পাকিস্তানের পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ। এছাড়া ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার কাইল মায়ার্সও পেস বোলিং করে থাকেন। যে কারণে বরিশালের একাদশে পেস বিভাগে দেশিদের প্রাধান্য কিছুটা কম।
আরও পড়ুন:
» বিপিএল ২০২৫ : একনজরে সিলেট পর্বের ম্যাচসূচি
» অবসরের গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন রোহিত শর্মা
তবে প্রথম দুই ম্যাচেই একজন করে দেশি পেসার খেলিয়েছেন বরিশাল। প্রথম ম্যাচে খেলেন রিপন মন্ডল এবং দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেন সদ্য অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপজয়ী ইকবাল হোসেন ইমন। তবে এখনো একাদশে জায়গা হয়নি এবাদতের। টিম কম্বিনেশনের কারণেই দলে সুযোগ হচ্ছে না তার।
আজ শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সিলেটে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন এবাদত। এ সময় বরিশালের একাদশে সামনে সুযোগ মিলবে কিনা এবার সেই বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। এই পেসার মনে করেন, টিম ম্যানেজমেন্ট ও অধিনায়ক চাইলেই একাদশে সুযোগ হবে তার।
এবাদত বলেন, ‘টিম কম্বিনেশন পুরোটাই ম্যানেজমেন্ট এবং অধিনায়কের ওপর। কম্বিনেশনের ওপর ভিত্তি করে যদি আমাকে একাদশে রাখা হয় তাহলে আমিও সর্বোচ্চটুকু দেয়ার চেষ্টা করব।’
সদ্য সমাপ্ত এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত বোলিং করেন এবাদত। সিলেট বিভাগের হয়ে ৫ ইনিংসে ১০ উইকেট শিকার করেন এই পেসার। যেখানে তার গড় ছিল ৬.৩৪। বিপিএলে সুযোগ পেয়ে একই ছন্দে বোলিং করতে পারলে পুনরায় জাতীয় দলে দেখা যেতে পারে সিলেট রকেট খ্যাত এই পেসারকে।
ক্রিফোস্পোর্টস/৪জানুয়ারি২৫/বিটি