মাঠে চলমান বিপিএলের একাদশ আসরের খেলা। যেখানে নেই দেশের সবচেয়ে তারকা সাকিব আল হাসান। তবে তিনি না থেকেও থেকে যান আলোচনায়। এবারও ব্যতিক্রম নন। এই বিপিএল শেষের কিছুদিন পরেই শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর। সেখানে সাকিবকে দেখা যাবে কি না সেটা নিয়েই চলছে আলোচনা। তবে সাকিব নয় আলোচনায় রয়েছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালও।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের প্রস্তুতির মঞ্চ হলো এই বিপিএল। যেখানে খেলোয়াড়রা নিজেদের প্রমাণ করতে ব্যস্ত। ফলে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা নিজেদের ব্যাটকে ধারালো করতে পূর্ণ মনোযোগী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা তামিম ইকবালও। এদিকে বিপিএলে না খেললেও বুড়োদের লিজেন্ড লিগে নিজের নাম লিখিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
এদিকে অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফেরার পর জাতীয় দলের জার্সিতে আর কোনো ম্যাচ খেলেননি তামিম। আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর না নিলেও জাতীয় দল থেকে অনেক দূরে রয়েছেন দেশসেরা এই ওপেনার। ফলে বর্তমানে জাতীয় দলের কেউ নন তিনি। এদিকে সম্প্রতি শহীদ আফ্রিদির ধারণ করা এক ভিডিও বার্তায় তিনি আফ্রিদিকে জানান যে সে (তামিম) জাতীয় দলে আর ফিরবে না। এসময় তিনি বলেন যে, ‘জাতীয় দলের পর্ব তাঁর জন্য ওই পর্যন্তই সমাপ্ত।’
আরও পড়ুন:
» দলে ৬ পরিবর্তন এনেও হারল ঢাকা, রংপুরের পাঁচে পাঁচ
» সাব্বির রহমান আজ মাঠে নামবেন? যা জানা গেল
এ ধরনের ভিডিও প্রকাশের পরই মূলত ভক্ত সমর্থকদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। অনেকের মনে প্রশ্ন আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিব-তামিমকে দেখা যাবে কিনা। এদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দল পাঠানোর সময়সীমা ১২ জানুয়ারি। এরমধ্যেই ১৫ সদস্যের নাম পাঠাতে হবে আইসিসিকে। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নির্বাচক দেশের একটি অনলাইন গণমাধ্যমকে জানান, ‘কবে নাম পাঠাবে সেটা তারা নিশ্চিত নন।’
সাকিব ও তামিমকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দেখা যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওই নির্বাচক বলেন, ‘বোর্ড এখনও আমাদের নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি। ফলে এখনই কিছু বলতে না ওই নির্বাচক। তবে সবকিছু নিশ্চিত হয়েই দল পাঠাবে তাঁরা। এখন দেখা যাক শেষ পর্যন্ত ওই তালিকায় এনাদের দেখা যায় কি না।
সাকিবের খেলা নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করার চেষ্টা করবেন স্বয়ং বোর্ড সভাপতি। এছাড়া সাকিব চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানিয়েছেন ফারুক আহমেদ।
এ সময় ফারুক আহমেদ বলেন, ‘সাকিব এখনও অবসর নেননি। সুতরাং সবসময়ই জাতীয় দলের জন্য তার দরজা খোলা। রাজনৈতিক জটিলতা কাটিয়ে যদি সাকিব ওর ইস্যুগুলো নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে পারে তাহলে সেটা খুবই ভালো হবে। তবে এ বিষয়ে বোর্ডের কিছু করার নেই।’
এছাড়া ফারুক আহমেদ সাকিবকে দলে নেওয়ার বিষয়টি নির্বাচক প্যানেলের উপরে ছেড়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাকিব খেলবে কি খেলবে না সেটা তাঁর ফিটনেস ও মানসিক অবস্থা দেখে নির্বাচকরা বিবেচনা করবে। এটা তাঁদের উপরেই ছেড়ে দিয়েছি।’
ক্রিফোস্পোর্টস/৭জানুয়ারি২৫/এসআর/বিটি