গত ১৫ মাস ধরে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানো হয়নি তামিম ইকবালের। ২০২৩ সালের অক্টোবরে জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ খেলেছিলেন সাবেক টাইগার অধিনায়ক। একইভাবে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক সাকিবও কয়েকমাস ধরে জাতীয় দলের বাইরে আছেন। তবে পুনরায় তাদের জাতীয় দলে ফেরা নিয়েও বেশ আলোচনা চলছে।
গত সেপ্টেম্বরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব। তবে ওয়ানডেতে খেলা চালিয়ে যাবেন বলে জানান এই তারকা। তবে বাংলাদেশের সবশেষ দুই ওয়ানডে সিরিজে আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ছিলেন না তিনি। এর ফলে সেপ্টেম্বরের পর আর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানো হয়নি তার।
এদিকে তামিম জাতীয় দলে না খেললেও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছেন। তবে সেখানেও ছিল লম্বা বিরতি। চলতি বছর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) পর চলমান ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি দিয়ে দীর্ঘ ৭ মাস পর মাঠে ফিরেছেন এই ওপেনার। তাই পুনরায় তার জাতীয় দলের সম্ভাবনা বেশ জোরালো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
» এশিয়ার চ্যাম্পিয়নদের জন্য মোটা অঙ্কের পুরস্কার ঘোষণা বিসিবির
» জাকেরের ব্যাটিংয়ে খুশি সালাউদ্দিন, জানালেন সাফল্যের রহস্য
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে মাঠে গড়াবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আসন্ন এই টুর্নামেন্টে সাকিব-তামিম থাকবেন কিনা এ নিয়েছে চলছে নানা জল্পনা। এবার এ বিষয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ। আজ (শনিবার) মিরপুরে বিসিবির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিটিং শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাকিব ও তামিমের ফেরা প্রসঙ্গে কথা বলেন ফারুক।
সাকিবের প্রসঙ্গে বিসিবি বস বলেন, ‘আসলে সাকিবের ইস্যুটা ভিন্ন ব্যাপার। এটাতে নতুন করে কিছু বলার নেই। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে সে খেলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিল না। যে কারণে যেতে পারেনি। বিপিএল খেলবে কি না সেটাও সেই জানাবে। তার ব্যাপারে নতুন কোনো আপডেট নেই।’
অন্যদিকে তামিমের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তামিমের ব্যাপারে প্রধান নির্বাচক যে কথা বলেছেন, সেই প্রক্রিয়াতেই আছি। যদি কোনো খেলোয়াড় অবসর না নিয়ে থাকে আর যদি নির্বাচকরা যদি মনে করে তাকে দরকার, তখন তারা চাইলে দলে যুক্ত করতে পারবে। এটা নির্বাচকদের ওপর নির্ভর করছে।’
আছাড়া বিসিবি বস আরো বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি যে, যদি কোনো খেলোয়াড় অবসর না নিয়ে থাকে, সে দলের জন্য অবশ্যই অ্যাভেইলেবল।’
চলতি মাসের শেষে মাঠে গড়াবে বিপিএল, যা চলবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তবে এর আগে আর জাতীয় দলের কোনো খেলা নেই। তাই আসন্ন এই আইসিসি ইভেন্ট দিয়েই মাঠে ফিরতে পারেন দেশের অন্যতম সেরা দুই ক্রিকেটার।
ক্রিফোস্পোর্টস/২১ডিসেম্বর২৪/বিটি