চলতি মাসেই শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসর। প্রথম থেকেই অনেক পরিবর্তনের কথা শোনা যাচ্ছে এই আসরে। আলোচনার কেন্দ্রে থাকা মিরপুরের উইকেট নিয়েও শোনা যাচ্ছে আশার বাণী। এদিকে আসন্ন বিশ্বকাপের উইকেটের সাথে মিল রেখে বিপিএলে উইকেট তৈরি করার আভাস দিয়ে রাখলেন বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম।
প্রায়শই মিরপুরের বাজে উইকেট নিয়ে সমালোচনা ওঠে। খেলোয়াড়রাও বিভিন্ন সময়ে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন উইকেটের ব্যাপারে। কেউ কেউ মনে করেন মিরপুরের উইকেট টি-টোয়েন্টি খেলার উপযোগী নয়। মূলত দীর্ঘ ব্যস্ততার কারণে উইকেটের পর্যাপ্ত পরিচর্যা করার সুযোগ থাকে না মিরপুরে। তবে এবার বিপিএলের আগে ক্রিকেটের তেমন কোন ব্যস্ততা নেই।
গতকাল (বুধবার) মিরপুরে মাহবুব আনাম বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের খেলা। আমরা চাইব যেন এখানে প্রচুর রান আসে। তবে অবশ্যই ব্যাটারদেরও দক্ষতা থাকতে হবে রান করায়, বোলারদেরও ভালো করতে হবে। আইসিসি আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলোতে যে ধরনের উইকেট তৈরি করা হয়, আগামী বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আমরাও সেরকম উইকেটই বানানোর চেষ্টা করব।’
এতে ক্রিকেটাররা বিশ্বকাপের প্রস্তুতিও সেরে নিতে পারবেন বলে মনে করেন বিসিবির এই কর্মকর্তা, ‘এখন যেরকম কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ চলছে, তাতে শুরুতে কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে পারি। তবে ভালো উইকেটের প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের। আগামী বিশ্বকাপের সঙ্গে মিল রেখে একটা উইকেট বানানোর কথা বলা হয়েছে ওদের। আমাদের ব্যাটসম্যান যারা খেলবে, তারা যেন বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে এটাকে ব্যবহার করতে পারে।’
গেল নিউজিল্যান্ড সিরিজে সিলেটের মাটিতে একটি টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের উইকেট এবং ভেন্যু নিয়ে বেশ প্রশংসা শোনা যায় সকলের কণ্ঠে। সেখানে দায়িত্বে থাকা উইকেট পরামর্শ টনি হেমিংয়ের ওপর তাই এবারও আস্থা রাখছেন মাহবুব আনাম। তাই বিপিএলে ভালো উইকেট তৈরির জন্য বাইরে থেকে আর কাউকে আনার প্রয়োজন নেই বলেই তিনি মনে করেন।
টনি হেমিংয়ে আস্থা রেখে মাহবুব আনাম বলেন, ‘আমার মনে হয় স্টাফদের সকলের স্কিল আছে। আমাদের একজন শক্তিশালী পরামর্শকও আছেন টনি হেমিং। বিসিবি এই মুহূর্তে তাকে নিয়েই কাজ করবে। ও যেভাবে আমাদের কিউরেটরদের জ্ঞান দিচ্ছে এবং তার যে অভিজ্ঞতা, আমার মনে হয় বাইরে থেকে কাউকে আনার প্রয়োজন হবে না।’
আগামী ১৯ জানুয়ারি দশম বারের মত পর্দা উড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের। প্রায় দেড় মাস যাবত চলতে থাকা এই আসর ইতি টানবে ১ মার্চ ফাইনালের মধ্য দিয়ে। ৭ দলের টুর্নামেন্টে মোট ৪৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরেই আয়োজিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। তাই এই ফরমেটে প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখে বিশেষ পরিকল্পনা সাজাচ্ছে বিসিবি।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে ভরাডুবি, অর্ধেকের বেশি তারকাকে বাদ দিলো শ্রীলঙ্কা
ক্রিফোস্পোর্টস/০৪জানুয়ারি২৪/এসএফ/এজে