২০১৯-এ দক্ষিণ আফ্রিকায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারদের মধ্যে বেশির ভাগ ক্রিকেটার এখন জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন। বিশ্বকাপজয়ী সেই দলের পাঁচজন সদস্য খেলবেন আসন্ন এশিয়া কাপে।
টি২০, ওয়ানডে, টেস্ট মিলিয়ে জাতীয় দলে খেলার সংখ্যাটা ৮ জনে উন্নীত হলো গতকাল পেস বোলিং অলরাউন্ডার তানজিম হাসান সাকিবের অন্তর্ভুক্তিতে। হাঁটুতে চোট থাকায় পেসার এবাদত হোসেনকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয়েছে তানজিম সাকিবকে।
সেই কবেই তো হয়ে গেছে পেসার শরিফুল ইসলামের অভিষেক। শামীম হোসেন পাটোয়ারি জিম্বাবুয়েতে রাঙিয়েছিলেন টি২০ অভিষেক।
টাইগার ব্যাটিং ইউনিটের নতুন সেনসেশন হয়ে উঠেছেন তাওহিদ হৃদয়। তামিম ইকবালের না থাকায় সুযোগ মিলেছে তানজিদ হাসান তামিমের। তানজিম সাকিব হলেন স্কোয়াডের সব শেষ সংযোজন।
বিসিবির বয়সভিত্তিক দল থেকেই উঠে এসেছেন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমরাও । ২০০৪ সালে তারাও ছিলেন রিচার্ড ম্যাকিঞ্জের ক্যাম্পের সদস্য। এইচপির পরিচিতি ও বিকাশ মূলত তখন থেকেই। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্রিকেটার তানজিম হাসানরাও ঘুরে এসেছেন এইচপির ক্লাসরুম থেকে।
কবিসিবি গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজনের মতে, ‘বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া একটা আত্মবিশ্বাস। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ হলেও তারা চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে আত্মবিশ্বাসী ছিল। আমরা দেখতে পাচ্ছি, চ্যাম্পিয়ন দলের অনেকেই ইতোমধ্যে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছে। কোভিড না থাকলে আরও ভালো করতে পারত তারা। কারণ বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্রিকেটারদের মাথার ওপর ছাতা ধরে রেখেছিল বিসিবি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুই বছরের স্কলারশিপ থাকায় আর্থিক দিক নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি তাদের। এতে করে যেটা হয়েছে, সবাই খেলায় মনোযোগ দিতে পেরেছে। অনূর্ধ্ব-১৯ দল ছাড়ার পর সবাই ভালো ক্রিকেট খেলেছে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএল সবখানেই। সবচেয়ে বড় কথা– নিজেরা একাগ্র ছিল, বড় খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন দেখেছে, কঠিন পরিশ্রম করেছে। তানজিদ হাসান মাঝে একটা বছর খারাপ খেললেও গত বছর ভালো করে ফোকাসে এসেছে।’
এসময় এবাদতের বদলি হিসেবে এশিয়া কাপের দলে ঢোকা নতুন মুখ তানজিম হাসান সাকিবেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। তানজিম সাকিবের যত্ন নিলে ভালো মানের একজন অলরাউন্ডার হয়ে দেশকে অনেক সময় ধরে সার্ভিস দিতে পারবে বলে আশা ব্যক্ত করেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
আরও পড়ুন: মারা যাননি হিথ স্ট্রিক, গুজব ছড়িয়েছে সতীর্থরা
ক্রিফোস্পোর্টস/২৩আগস্ট২৩/এমএইচ