ফুটবল বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয়পর্ব নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ দল। দ্বিতীয়পর্বে বাংলাদেশের গ্রুপে থাকছে এশিয়ার পাওয়ার হাউস অস্ট্রেলিয়া। বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১৬ নভেম্বর মেলবোর্নে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করে। কাতার বিশ্বকাপে শেষ ষোলোতেও জায়গা হয়েছিল এই দলটির। র্যাংকিং ও শক্তিমত্তার বিচারে বাংলাদেশের থেকে যোজন যোজন এগিয়ে সকারুরা। তবে সেই দুরত্বই এবার কমাতে চান বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ হেভিয়ের কাবরেরা।
এর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডেও অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ সেই ম্যাচে ৫-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল জামাল তপুরা। আট বছর আগে খেলা সেই স্কোয়াডের কয়েকজন প্লেয়ার রয়েছে বাংলাদেশ দলে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে প্রধান কোচ হেভিয়ের কাবরেরা বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া শুধু এশিয়ার নয়, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দল। র্যাংকিংয়ে ২৭ নম্বর অবস্থানে আছে তারা। শেষ বিশ্বকাপ ষোলোতে খেলেছে। এটি আমাদের ফুটবলের উন্নতির জন্য একটি বড় সুযোগ। আমরা জানি বেশিরভাগ সময় ওরা আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করবে। সে চাপ কমিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য।’
রাশিয়া বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে অস্ট্রেলিয়ার সাথে দেখা হয়েছিল বাংলাদেশের। মাঝে পেরিয়ে গেছে আট বছর। দীর্ঘ এই সময়ে কতটা বদলেছে দেশের ফুটবল সেটা প্রমাণের পালা এবার। তিনি আরো বলেন, ‘ আমি ভুল না করলে সেই স্কোয়ার্ডের মাত্র তিনজন এখন আমাদের সাথে আছে। এটা এখন একটা নতুন দল, নতুন কোচিং স্টাফ। তবে অতীত থাকা ভালো।’
অস্ট্রেলিয়ার মত বিশ্বকাপ খেলা দলের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের ফরওয়ার্ড রাকিব হোসেন। তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে নিয়মিতই অংশ নেয়। এবার তারা আর্জেন্টিনার বিপক্ষেও খেলেছে। এমন একটি দলের বিপক্ষে খেলতে পারা আমাদের জন্য দারুণ অভিজ্ঞতার।’
এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সার্ভিস পাওয়া যাবে না নিষিদ্ধ হওয়া তপু বর্মন ও আনিসুর রহমান জিকোর। মদ কাণ্ডে পাওয়া ক্লাবের শাস্তিকে প্রাধান্য দিয়ে কাবরেরা বলেন, ‘সত্যি বলতে কয়েকজনের সাথে আমি যোগাযোগ রাখছি, ফেডারেশনও রাখছে। বিষয়টি ক্লাবের সাথে জড়িত তাই আমাদের কিছুই করার নেই। তবে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে আমরা প্রমাণ করেছি এটা একটা দল। ব্যক্তিগত সাফল্যে সেটা খুব একটা পরিবর্তন হয় না।’
হেভিয়ের কাবরেরার হাত ধরে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ দল। গেল সাফের সেমিফাইনালেও খেলেছে দলটি। নিয়মিতই সমর্থকদের জয় উপহার দিচ্ছে জামাল-তারিকরা। শেষ সাত ম্যাচে রয়েছে তিনটি করে জয় ও ড্র।
বড় অভিযানে কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য পাঁচ দিন আগেই মেলবোর্নে যাবে দল। দলে ফিরেছেন নিষেধাজ্ঞায় থাকা মোরসালিন তবে দলে জায়গা পেতে আবারও নিজেকে করতে হবে প্রমাণ।
আরও পড়ুন: হালান্ডের জোড়া গোলে ম্যানসিটির রেকর্ড জয়
ক্রিফোস্পোর্টস/৮নভেম্বর২৩/এসএস/এজে